Academy

চীন 'বিশ্বের মধ্যে একটি বৃহত্তম জনবহুল দেশ। তা সত্ত্বেও দেশটি কৃষি ক্ষেত্রে বেশ উন্নত। এর প্রধান কারণ চীন মৌসুম নিরপেক্ষ ও হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনে সক্ষম। আমরাও এ ধরনের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়েকগুণ বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারি। এগুলো নিজেদের প্রয়োজন। মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারি।

উদ্দীপকে উল্লেখিত দেশটির সাথে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার তুলনা কর। (প্রয়োগ)

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago
Ans :

উদ্দীপকে উল্লেখিত দেশটি হলো- চীন। দেশটির সাথে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার তুলনা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

বাংলাদেশের তুলনায় চীন কৃষিতে অনেক উন্নত দেশ। ফসলওয়ারি তুলনা করলে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সকল কৃষিজাত উৎপাদন হেক্টর প্রতি চীনে বেশি। এর প্রধান দুটি কারণ আছে। এক জিনগত অর্থাৎ বংশগতিগত পরিবর্তন এমনভাবে তারা ঘটাতে সক্ষম হয়েছে যে তাদের অধিকাংশ ধানের জাত মৌসুম নির্ভরশীল আর নেই, এ জাতগুলো আগে প্রচলিত জাতগুলোর চেয়ে হেক্টর প্রতি সাতগুণ পর্যন্ত ফলন দিচ্ছে। চীনের ধান গবেষকগণ দাবি করছেন আগামী প্রজন্মের ধান জাতগুলো এখানকার চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন দেবে। চীনের বর্তমান আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে এসব ফসল হয়তোবা সহায়ক ও হুমকিহীন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। কারণ ঐতিহ্যগতভাবে ধান বীজের জন্য বাংলাদেশের চাষিদের বীজ ব্যবসায়ীদের মুখাপেক্ষী হয়ে না থাকলেও চলে। কেননা দেশের মোট ব্যবহৃত ধান বীজের অন্তত ৮৫% চাষিরা নিজেরাই সঞ্চয় ও ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (BRRI) এ পর্যন্ত যতগুলো উচ্চ ফলনশীল ধান জাত (HYV) উদ্ভাবন করে কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছে সেগুলোর বীজ ধানক্ষেতেই উৎপাদন করা যায় এবং চাষিরা পরবর্তী ফসলের জন্য বীজ সেখান থেকে সঞ্চয় করে রাখতে পারেন। অর্থাৎ ধান বীজের জন্য বাংলাদেশের চাষিদের এক ধরনের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটেও ঐ টার্মিনেটর টাইপ সুপার হাইব্রিড ধান উৎপাদনের জন্য জোর গবেষণা চলছে। শীঘ্রই হয়তো বাংলাদেশের চাষিরা এই অতি উচ্চ ফলনশীল দেশি ধান বীজ পাবে চাষ করার জন্য।

2 months ago

কৃষি শিক্ষা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

কৃষিতে বিজ্ঞানীদের দুটি অবদান নিম্নরূপ
১. নিরলস গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করেছেন।
২. মাটির ধরন বিবেচনা করে কোন অঞ্চলে কোন ফসলে কী মাত্রায় সার প্রয়োগ করা হবে সে বিষয়ে কৃষকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

কৃষিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা। তারা জলবায়ু, পরিবেশ, মাটি, পানি উৎপাদন পদ্ধতি এসব বিষয় বিবেচনায় এনে উচ্চতর গবেষণা করছেন। তাদের নিরলস গবেষণার ফলেই কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।

বন্যা প্রতিরোধী ৪টি ধানের জাতের নাম হলো-
১. ব্রি ধান ২২,
৩. ব্রি ধান ৩৭,
২. ব্রি ধান ২৩,
৪. ব্রি ধান ৩৮।

গ্রামীণ সাংস্কৃতিক কাঠামোতে কৃষির ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়। কৃষকের সাংস্কৃতিক জীবন ও জনমানুষের সাংস্কৃতিক ভাবনায় চমৎকার মেলবন্ধন লক্ষ করা যায়। যেমন- কৃষি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে চারণ কবি খনার নানা মন্তব্য 'খনার বচন' নামে খ্যাত যা আমাদের সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

ফসলের জন্য সারের মাত্রা নির্ধারণের শর্ত হলো-
১. পূর্ববর্তী ফসলে কোন মাত্রায় সার দেওয়া হয়েছে।
২. প্রয়োগকৃত সারের কোনগুলো নিঃশেষ হয়ে যায়

কৃত্রিম রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর একটি উপায় হলো অণুজীব সার প্রয়োগ। এ ধরনের সার প্রয়োগে মাটির উর্বরতা বাড়ে, মাটিদ্ধ ফসফেট দ্রবীভূত হয়ে ফসলের গ্রহণোপযোগী হয়। সর্বোপরি ফসলের ফলন ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...